বন্দরের নির্যাতিত তিন নারীর পাশে মানবাধিকার কমিশন
বন্দরে যৌনকর্মী আখ্যা দিয়ে তিন নারীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তিন সদস্যের একটি টিম নারায়ণগঞ্জে এসেছিল। তারা ভুক্তভোগী ফাতেমা বেগমের সাথে কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত শোনেন। পরে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলামকে মামলা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের সকল প্রকারের দায়িত্ব নেবে বলে জানিয়েছেন মানবাধিকার কমিশন।
সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) আল মাহমুদ ফায়জুল কবিরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম জেলা আদালতে আসেন। টিমের অন্য দুই সদস্য হলেন, উপ পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) গাজী সালাম ও সদস্য বাঞ্চিতা চাকমা।
এ সময় ভুক্তভোগী ফাতেমা আক্তার ওরফে ফতেহকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসা হয়। পরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের একটি কক্ষে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত জানেন মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা। ভুক্তভোগী ফাতেমা মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের কাছে তার উপর নির্যাতনের ঘটনা বিস্তারিত খুলে বলেন। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্নগুলোও দেখান তিনি।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) আল মাহমুদ ফায়জুল কবির সাংবাদিকদের জানান, ভুক্তভোগীর সাথে আলাপ হয়েছে। তার কাছ থেকে বিস্তারিত জেনেছি। পরে বন্দরের ওসি সাহেবের সাথে আলাপ হয়েছে। যে ঘটনা ঘটেছে তা জামিন অযোগ্য অপরাধ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে থানায় মামলা করবেন। থানায় মামলা নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এই মামলা পরিচালনায় ভুক্তভোগীর সর্বাত্মক সহযোগিতায় পাশে থাকবে মানবাধিকার কমিশন।
এছাড়া জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের সাথে এ বিষয়ে আলাপ করবেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে জেলা বারের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা এড. আনিসুর রহমান দিপু বলেন, এই মামলায় ভুক্তভোগীদের সহায়তা করবো আমি। এই মামলার দায়িত্ব আমি নিতে চাই। আইনি যেকোন সহযোগিতার জন্য আমি তাদের পাশে আছি।
You must log in to post a comment.