বন্দরে ৩০দিন পেরিয়ে গেলেও ইংল্যান্ড প্রবাসীর স্ত্রী এখনও ঘরে ফিরেনি
বন্দরে ৩০দিন অতিবাহিত হলেও এখনও স্বামীর ঘরে ফিরেনি ইংল্যান্ড প্রবাসী আরিফুল ইসলামের স্ত্রী মরিয়ম বেগম। বর্তমানে সে বন্দর খেয়াঘাটের অদূরে সুরুজ্জামান টাওয়ারে পিত্রালয়ে অবস্থান করছে।
এদিকে ইংল্যান্ড প্রবাসী আরিফুল ইসলামের মা শিরিনা বেগম জানায়,আমার স্বামী এসএম আজাদ অগ্রনী ব্যংকের একজন নিষ্ঠাবান ব্যংকার ছিল। আমার ২ছেলে ও ১মেয়ে রেখে আমি স্বামী মৃত্যুবরন করে। অনেক কষ্ট করে ছেলে মেয়েদের মানুষ করে ইংল্যান্ড পাঠিয়েছি। আমার ছেলে আরিফুল ইসলাম প্রবাসে থেকে তার তিল তিল করা রোজগার থহর ৩০ লাখ টাকা সবই তার স্ত্রী মরিয়মের কাছে পাঠিয়েছে। আর সে আমার ছেলের সাথে ছলনা করে ছেলের বউ হিসেবে নয় নিজের মেয়ে হিসেবে জেনেছি। আর তার পিত্রালয় থেকে তাকে আনতে গিয়ে চোখের জল ফেলে আসতে হয়েছে। শুনেছি তার অনত্র বিয়ে হয়েছে এবং এখান থেকে চলেও যাবে। শুনেছি নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার হারুনুর রশিদ খুবই দয়ালু। প্রয়োজনে এই প্রতারক ফ্যামিলির বিরোদ্ধে এসপির বরাবরেই নালিশ করব সুবিচার পেতে।
এ ব্যাপারে প্রবাসীর মা শিরিনা বাদী হয়ে বন্দর থানায় স্ত্রী মরিয়ম,শ^শুর শফিকুল ও শ^াশুরী সেলিনা বেগম এবং শ্যালক ইমনসহ আসামী করে বন্দর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা আছে।
উল্লেখ্য,বন্দর এসএস শাহ রোডস্থ মৃত এসএম আজাদের ছেলে ইংল্যান্ড প্রবাসী আরিফুল ইসলামের স্ত্রী মরিয়ম আক্তার গত মার্চ মাসের শেষের দিকে শ^শুরবাড়ী থেকে অসুস্থতার কথা বলে বাড়ি থেকে গোপনে স্বর্নালংকার নিয়ে পিত্রালয়ে চলে যায়। কিন্তু এর পূর্বে প্রবাসী আরিফুল ইসলাম ইংল্যান্ড থাকাবস্থায় তার স্ত্রী মরিয়ম ও শ^াশুরী সেলিনা ও শ্যালক ইমন অসুস্থতা ও নানা বাহানায় মানসিক চাপ সৃষ্টি করে প্রায় ৩০লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। টাকা আতœসাতের ভয়ে সে গোপনে স্বামীর বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। প্রবাসী আরিফুল ইসলাম তার মা শিরিনা বেগমকে তার স্ত্রী মরিয়মের খবর নিতে পাঠালে তারা মরিয়মকে দিবেনা ও তালাক নামা পাঠিয়ে দিবে এবং মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে বলে সাফ জানিয়ে দেয়। কেন দিবেনা বললে প্রবাসীর স্ত্রী মরিয়মের মা সেলিনা বেগম,শ্যালক ইমনসহ শ^শুর বাড়ীর লোকজনেরা শিরিনা বেগমকে প্রাণনাশের হুমকি ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
You must log in to post a comment.