ফেরী যখন বন্ধ হয়,তান্ডব চলে নৌকা ও ট্রলার মাঝিদের
বন্দর প্রতিনিধি : ফেরী সার্ভিস যখন বন্ধ হয় তান্ডব লীলা শুরু হয় মাঝিদের। ইঞ্জিন চালিত (ছোট-বড়) নৌকার মাঝিরা রাতের সাথে পাল্লা দিয়ে তাদের সকল প্রকার কার্যক্রম শুরু হয়। নদী পথে তেল চুরির মহাৎসব চলে। ফেরীর পাশে দেখা যায় একাধিক ছোট ট্রলার। যা দিয়ে মাদক পাঁচার করা হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। এক দূর্ভোগ, অনিয়ম ও দূর্নীতিসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডের নিরাপদ স্থান বন্দরের নবীগঞ্জ খেয়াঘাট।
বন্দরের নবীগঞ্জ খেয়াঘাটে যাত্রী সাধারনের সুবিধার্থে নারায়নগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনের এমপি সেলিম ওসমান বন্দরবাসীর স্বপ্নের ফেরী সার্ভিস চালু করলেও বিএনপির একটি চক্র রাত হলেই যাত্রীদের সাথে খারাপ আচারন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বলতে গেলে রাত ১১ টার পর থেকে ট্রলার ও নৌকা মাঝিরা নদী পথের স্ব-ঘোষিত সম্রাট বনে যান। কেউ প্রতিবাদ করতে চাইলেও হঠাৎ চুপসে যেতে হয়। কেননা বিএনপির একটি চক্র নিখুত ভাবে চালাচ্ছে তাদের খেলা। খেলার শিকার হচ্ছে জন সাধারন আর বদনাম হচ্ছে দানশীল খ্যাত সাংসদ সেলিম ওসমানের। দিনে ফেরী সার্ভিস চালু থাকলে যাত্রী পারাপারে তেমন অনিয়ম না হলেও রাত হলেই যেন তারা নদী পথের রাজা বনে যান। রাতে ফেরী সার্ভিস বন্ধ হওয়ার পর ৫০/৬০ টি ইঞ্জিন চালিত (ছোট-বড়) নৌকা চলে। যাদের কাছ থেকে ৩০-৫০ টাকা পর্যন্ত নেয় চক্রটি। যার মাশুল দিতে হয় যাত্রীদের। রাতে যাত্রীরা নদী পার হলে জন প্রতি ১০ টাকা, রির্জাভ ৪০/৫০ টাকা। কোন যাত্রী ১০ টাকা দিয়ে পার হলেও সাথে ১০/১৫ কেজি ওজনের কিছু থাকলে অতিরিক্ত গুনতে হয় ১০ টাকা। না দিতে চাইলে খারাপ আচারন করতে বিন্দু পরিমান দ্বিধাবোধ করেন না মাঝিরা। ৩০ জুলাই (মঙ্গলবার) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে বন্দরের নবীগঞ্জ খেয়াঘাটে গেলে এমনই দৃশ্যপট দেখা যায়। যাত্রীরা যেন নীরব ও অসহায়! দেখার কেউ নেই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক দোকানী বলেন, ভাই এটা কোন দৃশ্যই না। এরচেয়ে আরো অনেক খারাপ আচারন সহ্য করতে হয়। ফেরী বন্ধ হলে নদীপথের মালিকই যেন তারা। কে বা কারা এগুলো করছে এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, দুঃখিত ভাই আমাদের পেটে লাথি মারতে চান। যাত্রী পারাপার মূল বিষয় না। ফেরী বন্ধ হওয়ার পর থেকেই একাধিক ট্রলার দেখেন নদীর মাঝ খানে যাচ্ছে আবার আসছে। ট্রলার দ্বারা কি করা হয় তা প্রশাসন একটু দৃষ্টি দিলে সকল কিছু আয়নার মত পরিস্কার হয়ে যাবে। চৌরাই তেল নামানো, মাদক পাঁচারের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ স্থান ফেরী ঘাট। ফেরী বন্ধ হওয়া মানে চক্রটির প্রস্তুতির শুরু।
এ বিষয়ে নাসিক ২৪ নং ওর্য়াড কাউন্সিলর ও জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহবায়ক আফজাল হোসেন বলেন, যা শুনলাম তা হতবাক হওয়ার মত। তবে অনেকে বলেছে এমন পর্যায়ে গেছে তা মেনে নেয়া অসম্বভ। যারা এগুলোর সাথে জড়িত তাদের সাবধান করে আফজাল হোসেন বলেন, আর সামনে অগ্রসর হলে পরিনতি খারাপ হবে। নিজে অন্যায় করি না, কাউকে প্রশ্রয় দেই না। যা আমার রাজনৈতিক গুরু প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমান ভাই আমাদের শিক্ষা দিয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ, বন্দর থানা প্রশাসনসহ নৌ- পুলিশের টহল বাড়ানোর জোড় দাবী এ নেতার।
You must log in to post a comment.