সন্ত্রাসী সাগর বাহিনীর হামলায় বক্তাবলীতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে টুটুল
ফতুল্লা(নিউজ বন্দর ২৪) : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলীর রাধানগরে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত টুটুল মৃত্যুর সাথে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঞ্জা লড়ছে।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানায় মাজেদা বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলেও পুলিশ মামলার প্রধান আসামী সাগরসহ অন্যদের গ্রেফতার করতে পারেনি। ফলে গুরুতর আহত টুটুলের পরিবারসহ এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।
মামলায় রাধানগর গ্রামের মোঃ ছলিম উদ্দিন এর স্ত্রী মাজেদা বেগম সাগরকে প্রধান আসামী করে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-১৬(৭)১৯ইং।
মামলার এজাহারে মাজোদা বেগম উল্লেখ করেন,গঙ্গানগর গ্রামের মোফাজ্জলের পুত্র সাগর (২০),রাধানগর গ্রামের মৃত সামসুল হকের পুত্র আমির হোসেন(৪২),ইসমাইল (৩০),গঙ্গানগর গ্রামের মৃত আতর আলীর পুত্র মোফাজ্জল (৪৫),মধ্যনগর গ্রামের মৃত মালেকের পুত্র আনিস (৩০),গঙ্গানগর গ্রামের গোলাম হোসেনের পুত্র সোহেল (২৪),একই গ্রামের ইমতিয়াজের পুত্র অনিক (২৩) সহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন সন্ত্রাসী আমার পুত্র টুটুল (২০),নাতনী মেঘলা (১৪),নাতি ফেরদৌস (০৭) রিকসা যোগে বিদেশে যাবার জন্য ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বাসায় আসার পথে সাফায়াত মেম্বারের বাড়ী আসার সময় উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গত ৭ জুন বেলা পৌনে একটায় এলোপাথারী মারধর করে। সাগর তার হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে মাথার ডানপাশ্বে কোপ মারে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে।
তিনি আরো উল্লেখ করেন গত ১ মাস আগে আমার দেবরের ছেলে রুবেল এর সহিত আওলাদ হোসেনের কন্যা জনৈকা শাকিলার সাথে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক রেজিষ্ট্রি কাবিন মূলে বিয়ে হয়।তার আগে খলিলুর রহমানের সাথে শাকিলার বিয়ে হয়েছিল।
গত ৩০/৫/২০১৯ ইং তারিখ সন্ধ্যায় উক্ত শাকিলা ও রুবেলকে নিয়ে কুৎসিত লেখা সম্বলিত পোষ্টার রুবেল এর বাড়ি ও আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন বাড়ীর দেওয়ালে লাগানোর সময় উল্লেখিত আসামীদের সাথে মারামারি হয়।তখন আমার ছেলে টুটুল উক্ত স্থানে হাজির ছিলনা।সেই শত্রুুতার জের ধরে আমার ছেলের উপর হামলা চালানো হয়। আসামীরা আমার নাতনীকে টানা হেঁচড়া করিয়া শ্লীলতাহানি ঘটায়। গলায় থাকা ১ ভরি স্বর্নের চেইন। নাতনীর ব্যাগে থাকা আড়াই লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।নিষ্পাপ শিশু সাত বছরের ফেরদৌসকেও মারধর হতে রেহাই দেয়নি। মসজিদে নামাজ পড়তে আসা লোকজন আমার ছেলেকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা করে।
মামলা দায়ের করলেও ২ নং আসামী আমিরকে বাদী গতকাল শনিবার আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিলেও আর কোন আসামী আটক করতে পারেনি পুলিশ।
টুটুলের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ার ৯ জুন রবিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হতে বারডেম হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
You must log in to post a comment.